সংবাদ মূলত মুদ্রণজগৎ, সম্প্রচার কেন্দ্র, ইন্টারনেট অথবা তৃতীয় পক্ষের মুখপাত্র কিংবা গণমাধ্যমে উপস্থাপিত বর্তমান ঘটনাপ্রবাহের একগুচ্ছ নির্বাচিত তথ্যের সমষ্টি যা যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আর যিনি বা যারাই বিভিন্ন স্থান, ক্ষেত্র, বিষয় ইত্যাদিকে ঘিরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদ সংগ্রহসহ বিভিন্ন ধরণের তথ্য সংগ্রহপূর্বক সংবাদ কিংবা প্রতিবেদন রচনা করে সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করে থাকেন তাকে বা তাদেরকে সাংবাদিক বলে। আরও একটু ভালো করে বললে; সাংবাদিকরাই সমাজের আয়না বা বিবেক। যার মাধ্যমে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে জাতির সামনে। কিন্তু তা আজ কই?
আজকের দিনে সাংবাদ ও সাংবাদিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। সর্বত্র দেখা মিলছে সাংবাদিকগণদের নৈতিকতার পদস্খলনের জন্য তারাও আজ শব্দ সন্ত্রাসের স্বীকার। সমাজে আজ তাদেরকে সাংবাদিক না বলে “সাংঘাতিক” নামে সম্বোধন করা হচ্ছে অহরহ। এখন কথা উঠতে পারে আয়নার প্রতিবিম্বের ধাতু প্রলেপ কি কম হয়ে গেলো? না কি রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ফাঁদে পড়ে সাংবাদিকরা নৈতিকতা হারালো?
আসলে, প্রত্যেক দেশে গণমাধ্যমের একটা নীতিমালা থাকে। অর্থাৎ গণমাধ্যম কী প্রচার করবেন, কী প্রচার করবেন না ইত্যাদি। এই নীতিমালা গ্রহণের ব্যাপারে গণমাধ্যম মোটামুটি স্বাধীন থাকে। কিন্তু কোনো গণমাধ্যম ইচ্ছে করলেই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতে পারে না। সাম্প্রদায়িকতার পক্ষেও অবস্থান গ্রহণ করতে পারে না। কারণ এগুলো গণমাধ্যমের নীতি বিবর্জিত। কিন্তু তাও আর কই?
বলাই বাহুল্য; আজ বিবেক ও নৈতিকতা বিবর্জিত সাংবাদিকের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান আর তারা চেতনার ত্যানা এমনভাবে পেঁচিয়ে রেখেছে একদিকে একটু ঘর্ষণ লাগলেই আর একদিকে গরম হয়ে উঠতে তাদের সময় লাগেনা রাজনৈতিক মদদপুষ্টতার কারণে।
শোনা যায়, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের মালিকরা অনেকটাই স্বাধীন, তবে সাংবাদিকদের একেবারেই কোনো স্বাধীনতা নেই। সাংবাদিকরা নিজেদের ইচ্ছেমত যা দেখেছেন, তা লিখতে পারেন না। মালিকরা যেভাবে চান সাংবাদিকরা সেভাবেই লিখতে বাধ্য হন। আপাত দৃষ্টিতে এগুলোর অনেক সত্যতা থাকলেও আমি তা মানতে নারাজ।
তাছাড়া কোনো একটি বিগ ইস্যুতে অনেক রাজনৈতিক দল বা ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরা এসে সম্পাদকের ডেস্কের সামনে কুন্ডলি পাকিয়ে বসে থাকে ডার্টি জব করার জন্য। এসময় কোনো রকম উদ্ধৃতি ছাড়া; সাংবাদিকতার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রকাশ করে সংবাদ। এসব কথা আজ সাংবাদিক ভাইরা বলে থাকেন জোর গলায়।
আসলে কি তাই? আমাদের সমাজের দর্পণদেরা কি ধোঁয়া তুলসির পাতা? জনগনও বোঝে ডিফেমেশান বলে যে একটা বে-আইনী ব্যাপার আছে; সেটা কি আমাদের দর্পণ ভাইয়েরা বোঝে না? বোঝে!
আসল ব্যাপারটা কিন্তু এমন; শিক্ষা-দীক্ষা ও সাংস্কৃতিক নিন্মরুচি এবং লোভ ও ভয়ে আক্রান্তদের ভিড়ে মহান ও শক্তিশালী এ পেশার সাংবাদিকতা হারাচ্ছে তার ধর্ম ও নৈতিকতা। আমাদের সাংবাদিক ভাইরা যে তৃণমূলের অক্ষ শক্তি। তারা কিন্তু এ কথাকে ভুলে গেছে তাদের লোভের কাছে, প্রতিশোধের কাছে ও ভয়ের কাছে! তাই তারা আজ সাংঘাতিক তৈরীর কারখানা মালিকদের বৃত্তে বন্দি!
নৈতিকতা হারানো কিছু ভূঁইফোঁড় সাংবাদিক তাদের প্রচারে নিজের ঢোল নিজে বাজানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় সর্বক্ষন। প্রশাষন কিংবা রাজনৈতিক কোন ব্যাক্তিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে প্রকাশ পায় তাদের ভাবের সেলফি। তারা বোঝাতে চায় দেখুন আমি কত বড় সাংবাদিক।
আবার অনেক সাংবাদিক আছে তারা তাদের নামের আগে সাংবাদিক শব্দটি না উল্লেখ করলে রেগে কালচে টমেটোর মত হয়ে যায়। কাউকে তো আবার সামনের চেয়ার না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকিও পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে। এগুলো কোন সাংবাদিকের লক্ষণ?
আবার অনেক সাংবাদিক আছে তারা তাদের নামের আগে সাংবাদিক শব্দটি না উল্লেখ করলে রেগে কালচে টমেটোর মত হয়ে যায়। কাউকে তো আবার সামনের চেয়ার না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকিও পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে। এগুলো কোন সাংবাদিকের লক্ষণ?
এবার আমরা যদি একটু সাংবাদিকতার দুর্বৃত্তায়নের দিকে তাকাই তবে প্রথমে ভেসে আসে হলুদ সাংবাদিকতা। যার জন্য দেশের অর্থনিতীতে অবদান রাখা সূর্য সন্তানদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ সংবাদ বানানো বা প্রচার করতেও দ্বিধা করছে না তারা।
আমাদের দেশে বর্তমানে সাংবাদিকদের মধ্যে এক শ্রেনীর সাংবাদিক আছে, যারা সাংবাদিকতা পেশাটাকে অবৈধ আয়ের পূজি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। বাস্তবতা হচ্ছে এমন, অনেক সিনিয়র সাংবাদিকরা নিজেরা চাঁদাবাজি করতে না পেরে জুনিয়ার সাংবাদিকদের দিয়ে চাঁদাবাজির এ কাজ গুলো করায়। যদি কোনো কারণে জুনিয়র সাংবাদিকটি মামলা খায় তাহলে তদবিরে নেমে পড়েন আমাদের সিনিয়র সাংবাদিক ভাইরা এবং প্রশাসনও তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য ওই তদবিরে মজে যায় ফলে সমাজের তথা দেশের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।
এই সকল হলুদ সাংবাদিকদের কোন রকম শিক্ষাগত যোগ্যতা, আইন কানুন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তিগত জ্ঞান কোন কিছুই নেই। তারা সাংবাদিক নাম ব্যবহার করে এবং সংবাদ মাধ্যমকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আইডি কার্ড বানিজ্যে লিপ্ত থাকে। আর আজকালতো মোটরবাইকের নেমপ্লেটে লাইসেন্সের বদলে লিখে রাখে সাংবাদিক।
উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন রোমাঞ্চকর সংবাদ পরিবেশন বা উপস্থাপন করা আর প্রশাসনের সুনজর আশা করা তাদের এ উদ্দেশ্য।
আর আজকের দিনের ফেসবুক পাতায় অনলাইন সংবাদ শিরোনাম দেখে তো ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বল্গাহীন এ ধরনের সাংবাদিকতায় ভালমত গবেষণা বা খোঁজ-খবর না করেই দৃষ্টিগ্রাহী ও নজরকাড়া শিরোনামে কাটতি নিউজ করতে তারা মরিয়া। এগুলোকে তাহলে কি বলবেন?
আর আজকের দিনের ফেসবুক পাতায় অনলাইন সংবাদ শিরোনাম দেখে তো ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বল্গাহীন এ ধরনের সাংবাদিকতায় ভালমত গবেষণা বা খোঁজ-খবর না করেই দৃষ্টিগ্রাহী ও নজরকাড়া শিরোনামে কাটতি নিউজ করতে তারা মরিয়া। এগুলোকে তাহলে কি বলবেন?
আসুন বলার আগে জেনে নিই হলুদ সাংবাদিকতা বা ইয়েলো জার্নালিজম কি? আর এর শুরুর ইতিহাস কি? তাহলে বুঝবেন সংবাদে এখন কেমন রং মাখানো হয়!
হলুদ সাংবাদিকতা বা ইয়েলো জার্নালিজম প্রত্যয়টি প্রথম ব্যবহার করা হয় উনিশ শতকের শেষের দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক জার্নালের সম্পাদক উইলিয়াম র্যান্ডলফ হার্স্ট এবং নিউ ইয়র্ক ওয়ার্ল্ডের সম্পাদক জোসেফ পুলিৎজারের মধ্যকার বিখ্যাত “সংবাদপত্র যুদ্ধের” সময়।
এই দুটো পত্রিকা সেনসেশনাল স্টোরি এবং অনেক বেশি ড্রয়িং ও কার্টুন ব্যবহারের মাধ্যমে সংবাদপত্রের বিষয়বস্তু বদলে দিয়েছিল। যেহেতু অনেক বেশি কার্টুন প্রকাশিত হচ্ছিল তখন, পুলিৎজার ১৮৯৬ সালে নিজের একটি কার্টুন প্রকাশ করতে শুরু করেন যার নাম ছিল “ইয়েলো কিড”।
কার্টুনটি আর. এফ. আউটকাল্টের সৃষ্টি ছিল এবং এটি হার্স্ট আর পুলিৎজারের শত্রুতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়। হার্স্ট পরবর্তীতে আউটকাল্টকে “ভয়ংকর বেশি পরিমাণ” বেতন অফার করেন এবং তাঁকে ও ইয়েলো কিডকে নিজের পত্রিকার জন্য কিনে নেন। পুলিৎজার এরপর ইয়েলো কিডের সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য ঠিক এর মতোই একটি কার্টুন প্রকাশ করতে শুরু করে।
কার্টুনটি আর. এফ. আউটকাল্টের সৃষ্টি ছিল এবং এটি হার্স্ট আর পুলিৎজারের শত্রুতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত হয়। হার্স্ট পরবর্তীতে আউটকাল্টকে “ভয়ংকর বেশি পরিমাণ” বেতন অফার করেন এবং তাঁকে ও ইয়েলো কিডকে নিজের পত্রিকার জন্য কিনে নেন। পুলিৎজার এরপর ইয়েলো কিডের সাথে পাল্লা দেওয়ার জন্য ঠিক এর মতোই একটি কার্টুন প্রকাশ করতে শুরু করে।
এই পত্রিকা দুটোর মধ্যে অতিরিক্ত প্রতিযোগিতার ফলে তারা মেলোড্রামাটিক সংবাদ প্রকাশ করতে শুরু করে এবং সংবাদগুলো এমনভাবে পরিবর্তন করে দিতে থাকে যা পত্রিকার বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে। তারা মনোরঞ্জক ও সংবেদনশীল সংবাদ দিয়ে পত্রিকা সাজাতো যাতে হকাররা রাস্তায় এসব সংবাদ দেখিয়ে পাঠক আকৃষ্ট করতে পারে।
এই পত্রিকা দুটো নিজেদের সংবাদকাহিনীগুলোকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে এবং প্রতিপক্ষের সংবাদকাহিনীগুলোকে হেয় করতে “ইয়েলো কিড” এর ব্যবহার করতো। এছাড়া এই বিখ্যাত কার্টুনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জনমত প্রভাবিত করার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হত। মোদ্দা কথা হলো, সেই সময়কার সংবাদপত্রগুলো বস্তুনিষ্ঠতা নামক শব্দটার ধারকাছ দিয়েও যেতো না।
আর হলুদ সাংবাদিকতা; পুলিৎজার ও হার্স্টের মধ্যকার সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতার ফলে যে সত্য ও মিথ্যার তোয়াক্কা না করে নিউ ইয়র্ক জার্নাল ও নিউ ইয়র্ক টাইমস কেবল উত্তেজক, অতিরঞ্জিত সংবাদই প্রকাশ করতো। আর এই উত্তেজক, অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশে “ইয়েলো কিড” নামক কার্টুনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো বলে পরবর্তীতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন, রোমাঞ্চকর, উত্তেজক সংবাদ পরিবেশন বা উপস্থাপনকে “ইয়েলো কিড” এর ইয়েলো ধার নিয়ে “ইয়েলো জার্নালিজম” বা হলুদ সাংবাদিকতা বলে ডাকা শুরু হয়।
হলুদ সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, প্রমান ছাড়া পত্রিকায় লেখালেখি করা। আপনি যদি কোন পত্রিকা পড়েন, দেখতে পাবেন যার বিরুদ্বে কোন নিউজ করা হয়, তারা কারন দেখাবে এই লোককে টেলিফোন করা হয়ছে তার মুঠো ফোন বন্ধ ছিল বলবে। সোর্স উল্লেখ না করে বিশস্থ বা গোপন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানাগেছে লিখবে। আসলে, এগুলোকি সাংবাদিকের এথিক্স?
আসলে এটামূলত "নেই কাজ তো খৈ ভাঁজ"-এর মত অবস্থা। আমি তো সাংবাদিক আমাকে তো লিখতেই হবে। বসে থাকলে চলবে কেন? তা না হলে লোকে বলবে তুই কিসের সাংবাদিক? মাছি মারা কেরানি সাংবাদিক নি। তাই আর কি!
আসলে প্যাশন মার্কা হলুদ এ সাংবাদিকদের অবস্থা 'চোখের নেশা'র বেশ্যাদের খদ্দের ধরার নেশার প্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে।
আগের দিনের সাংবাদিক মানে একজন সৎ, নির্মোহ ও সম্মানের পাত্র। আর আজকের দিনের সাংবাদিক মানে দু-টাকার সাংবাদিক ও সাংঘাতিক।
জাতির ক্রান্তি লগ্নেও তারাও আজ অনুদানের ছোবলে বিভক্ত। তাদের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায় যে তাদের বিশেষ দিক নিয়ে কথা বললেই জেল! তার জন্য আছে রাজনৈতিক গোষ্ঠীদের থেকে অভয়বাণী।
দেখুন, আজকের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন এসব হচ্ছে ঐক্যের নামে তাদের অন্যায়কে বৈধতা দেওয়ার একেকটা সংঘ মাত্র। যেখানে কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ফায়দা হাসিলের জন্য তাদের দেওয়া অনুদানের নামে উচ্ছিষ্ট ভাগ বাটোয়ারা হয়।
আগের দিনের সাংবাদিক মানে একজন সৎ, নির্মোহ ও সম্মানের পাত্র। আর আজকের দিনের সাংবাদিক মানে দু-টাকার সাংবাদিক ও সাংঘাতিক।
জাতির ক্রান্তি লগ্নেও তারাও আজ অনুদানের ছোবলে বিভক্ত। তাদের দৌরাত্ম্য এমন পর্যায় যে তাদের বিশেষ দিক নিয়ে কথা বললেই জেল! তার জন্য আছে রাজনৈতিক গোষ্ঠীদের থেকে অভয়বাণী।
দেখুন, আজকের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন এসব হচ্ছে ঐক্যের নামে তাদের অন্যায়কে বৈধতা দেওয়ার একেকটা সংঘ মাত্র। যেখানে কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ফায়দা হাসিলের জন্য তাদের দেওয়া অনুদানের নামে উচ্ছিষ্ট ভাগ বাটোয়ারা হয়।
আসুন, সাংবাদিকতার নামে হলুদ সংবাদিকতা বন্ধ করি। সাংবাদিকতার মহান আদর্শকে গণমানুষের কাছে তুলে ধরি। সংবাদের ধর্ম ও নৈতিকতার পদস্খলন দেখলেই সাংবাদিকদের সাংবাদিক হয়ে কলম যুদ্ধে নেমে পড়ি।